যশোরের চৌগাছার স্ত্রী রেক্সোনা হত্যায় স্বামী রাকিব হোসেন সিজারকে আটক করেছে পিবিআই সদস্যরা। বুধবার(২৮ মে) রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সিজার চৌগাছার নারায়নপুর গ্রামের মৃত আব্দার আলীর ছেলে।
গত ১০ মার্চ সকালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেক্সোনাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সিজার। প্রায় তিন মাস আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন তিনি। আটকের পর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সিজার। এমনকি তিনি নিজের নাম গোপন করে ‘জীবন’ নামে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান।
পিবিআইয়ের এসআই রতন মিয়া জানান, আটক সিজারের সঙ্গে ৪/৫ বছর আগে রেক্সোনার বিয়ে হয়। প্রথম স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী রেক্সোনাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। সেই বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান সিজার।
আটকের পর সিজার জানান, স্ত্রী তার বাড়িতে থাকতে চাইতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিনও এমনই এক ঝগড়ার সময় রেক্সোনা সিজারের অণ্ডকোষ চেপে ধরেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিজার বাঁশ দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর এবং মাথায় আঘাত করেন। ওই আঘাত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রেক্সোনার মৃত্যু হয়। এরপর সিজার বাইসাইকেল বিক্রি করে ঢাকায় প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান।
এদিকে, এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা করেন রেক্সোনার বাবা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ধানহাড়িয়া গ্রামের ছানোয়ার মণ্ডল। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই।
অন্যদিকে, সিজার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যান চট্টগ্রামে। সেখানে কাজ না পেয়ে যান সিরাজগঞ্জে, যেখানে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে ঢাকার গাবতলী হয়ে মাওয়া ঘাটে রডমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন সিজার। পরে পিবিআই তার অবস্থান শনাক্ত করে মুন্সীগঞ্জ জেলার দক্ষিণ মেদিনী মণ্ডলগ্রাম থেকে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে